জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এ সময় তার সঙ্গে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেলের কেবিন ব্লকে ভিপি নুরুল হক নুরুকে দেখতে যান।
এটিকে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে আফরোজা আব্বাস বলেন, ছাত্রদের একজন প্রতিনিধির ওপর এক ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মানবিক কারণেই তাকে দেখতে এসেছি। এমন সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এই সরকার এর বিচার করবে কি?
ভিন্নমতের রাজনীতি থাকতেই পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কেমন মায়ের সন্তান? আরেক মায়ের সন্তানকে এভাবে পিটিয়ে মারে। ভিন্নমত থাকতে পারে। তাই বলে এভাবে কাউকে মারতে হবে।
এদিকে ডাকসু কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় এদিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত তূর্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।
এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনঞ্জিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।