জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে জেলেদের পাতা বড়শিতে ধরা পড়েছে সাত মণ ওজনের বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা (স্টিংরে) মাছ।
মাছটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভৈরবের নৈশকালীন মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
একক কোনো ক্রেতা না পাওয়ায় মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন জেলে গনি মিয়া।
ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়ার জেলে গনি মিয়া জানান, পেশায় তিনি একজন মৎস্যজীবী। ভৈরবের মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ শিকার করেই তার সংসার চলে।
তিনি মূলত নদীতে লার পেতে (সূতায় টানানো বড়শি) মাছ শিকার করে থাকেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মেঘনা নদীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন এলাকায় পানিতে বড়শি পাতেন। বিকেলে তার সহযোগীদের নিয়ে লার টানার সময় বুঝতে পারেন বড়শিতে বড় কিছু একটা ধরা পড়েছে। এরপর লারটি পানিতে ভাসমান হলে মাছটি দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে যায় গনি মিয়া ও তার সহযোগীদের।
তারা দেখেন লারে ধরা পড়া মাছটি অন্য কোনো সাধারণ মাছ নয়, সেটি বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা (স্টিংরে) মাছ। পরে সন্ধ্যায় মাছটি ভৈরব নৈশকালীন মাছের আড়ত পূষণ এন্টারপ্রাইজে নিয়ে যান। মাছটির ওজন করলে প্রায় ৭ মণ হয়।
এ প্রসঙ্গে এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, বিরল প্রজাতির এই বিশাল মাছটি বিক্রির জন্য একক কোনো ক্রেতা না পাওয়ায়, এটি কেটে প্রতি কেজি ৫শ টাকা দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করি মাছটি এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে।
জানতে চাইলে ভৈরব সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, শাপলা পাতা বা স্টিংরে মাছ মূলত সামুদ্রিক মাছ। তবে উপকূলীয় এলাকায় এরা বসবাস করে। ভৈরবের মেঘনার সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের সংযোগ থাকায় এই নদীতে এ জাতীয় মাছ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।