স্পোর্টস ডেস্ক : দুই মেয়াদে চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে গত বুধবার পদত্যাগ করেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। নতুন কেউ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই দায়িত্বটি পালন করবেন সিঙ্গাপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইমরান খাজা। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তবে মনোহরের পদত্যাগে খুশিই হয়েছেন ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা, মনে করেন আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
২০১৫ সালে গঠিত হয় তিন মোড়ল নীতি। এর ফলে বিশ্ব ক্রিকেটের সব ক্ষমতা চলে যায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের হাতে। আইসিসির আয়ের বড় একটা অংশও এই তিন দেশের ক্রিকেট বোর্ডই পেত। কিন্তু মনোহর বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার পর ভেঙে দেন ‘তিন মোড়ল’ নীতি। যা ভারতের ক্রিকেটকে আর্থিক এবং অন্যদিক থেকে ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়। এরপর থেকেই মনোহরকে ভারতীয় ক্রিকেটের শত্রু বলে আখ্যা দেন শ্রীনি।
মনোহর ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে দাবি করে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শ্রীনিবাসন বলেন, ‘আমি বলতে চাই, সে আমাদের ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে। তাই মনোহরের পদত্যাগে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা খুশি হয়েছে। ওর জন্য আইসিসিতে ভারতের আগের অবস্থান নেই। বিশ্বে ক্রিকেটেও ভারতকে ছোট করেছে সে।’
আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘মনোহর এখন পালাচ্ছে। সে ভালোভাবেই জানে, বিসিসিআই কর্তারা তাকে আর সম্মান করবে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে নতুন নেতৃত্ব আসা মাত্রই ও বুঝে গেছে এখন নিজের দাম থাকবে না। নিজের অবস্থান টেকানো কঠিন। তাই ও পদত্যাগ করলো।’
বিসিসিআইয়ের দুর্দিনে ২০১৫ সালে এর সভাপতির পদ ছাড়েন মনোহর। এখন করোনার দুঃসময়ে ছাড়লেন আইসিসির পদ। তাই শ্রীনি বলছেন, দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো ওর স্বভাব হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আইসিসির প্রেসিডেন্ট হন শশাঙ্ক মনোহর। আর দ্বিতীয় মেয়াদেও ওই একইভাবে আইসিসির কর্তা হন বিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।