জুমবাংলা ডেস্ক : মন্দা অর্থনীতিতেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বেড়েছে বাংলাদেশের। গত অর্থছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৩০৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশে। এই অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে ৩২২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে এফডিআই বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাংলাদেশে নিট এফডিআই এসেছে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের বছরে একই মাসে এসেছিল ১৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকেই নিট এফডিআই বলা হয়ে থাকে।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ (৯.৬৪ বিলিয়ন) ডলার। গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল প্রায় একই, ৯৮৭ কোটি ৩০ লাখ কোটি ডলার।
আমদানি কমায় অর্থবছরের তিন মাস পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের চেয়ে কম ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ঘাটতি ছিল ৩৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ছিল তার থেকে কম ৩৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
তবে রপ্তানি আয়ে ধসের কারণে এর পর থেকেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে; এমনকি আমদানি ব্যয় কমার পরও বাড়ছে এই ঘাটতি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে (এফওবি ভিত্তিক, ইপিজেডসহ) মোট তিন হাজার ২০০ কোটি ২০ লাখ (৩২ বিলিয়ন) ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। আর পণ্য রপ্তানি থেকে (এফওবি ভিত্তিক, ইপিজেডসহ) আয় করেছে দুই হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ (২২.৩৬ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবেই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।