জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হ ত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এখন হবিগঞ্জের মাধবপুরে। গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া মিন্নি বেড়াতে এসেছেন মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার গ্যাস ফিল্ডে।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর, খালাসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিয়ে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে সরাসরি চলে আসেন মিন্নির খালাতো বোন জামাই হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের প্রডাকশন ম্যানেজার জাকির হোসেনের বাসায়।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্যাস ফিল্ডের স্টাপ কোয়ার্টারের বণবীথি বিল্ডিংয়ের বাসার ২য় তলায় তারা অবস্থান করছিলেন। তাকে ঘিরে কৌতুহলী এলাকাবাসীদের ভিড় দেখা যায় হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড এলাকায়।
মিন্নির ভগ্নিপতি জাকির হোসেন ও মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানান, ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুহিত কামাল ও ঢাকা আইন শালিস কেন্দ্রের নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের পরামর্শে মিন্নির মানসিক রি-ফ্রেসম্যান্টের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।
এখানে এসে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের লোকজন নিয়ে গ্যাস ফিল্ডের ৬ ও ৭নং কূপ এলাকার চা বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গতানুগতিক পরিচিত পরিবেশের বাইরে ভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে মানসিক প্রশান্তির জন্য এ ঘুরতে আসা।
আগামী ৩ অক্টোবর বরগুনা আদালতে রিফাত শরীফ হ ত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হবে। চার্জের আগেই তারা এলাকায় ফিরে যাবেন বলে জানান মিন্নির বাবা। জামিনের শর্তে মিডিয়াতে কথা বলা নিষেধ থাকায় তার সঙ্গে কোনো কথা বলা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে কু পিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হ ত্যা মামলা করেন। আলোচিত এ হ ত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ব ন্দুকযু দ্ধে নিহত হন।
গত ১৬ জুলাই রিফাত হ ত্যা মামলায় মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করলে ঢাকার একটি আইনজীবী দল বরগুনায় গিয়ে মিন্নির জামিন আবেদন করেন। পরে সেখানে জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন লাভ করেন। এরপর থেকে আয়শা সিদ্দীকা মিন্নি অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। বুধবার রাতে তারা স্ব-পরিবারে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।