আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির মনোনয়ন পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার বিধানসভা ভোটের প্রথম দু’দফার ৫৭টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নন্দীগ্রাম আসনের পাশে জ্বলজ্বল করছে শিশিরপুত্র খ্যাত শুভেন্দু অধিকারী।
গত কিছুদিন আগেও শুভেন্দু অধিকারী মমতার দলের অনুগত এক নেতা ছিলেন। তার প্রতি আস্থা রেখে মমতা তাকে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী করেছিলেন। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু এবার তার নেত্রীর মুখোমুখি হয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মনোনয়ন পাওয়ার আগেই শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ ছিল, তিনি অথবা যেই বিজেপির হয়ে দাঁড়াক মমতাকে অর্ধলাখ ভোটের ব্যবধানে হারানো হবে।
এরপর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মমতা। তিনি নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর নন্দীগ্রামে তেখালির সভায় মমতা ঘোষণা করেছিলেন, নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে তার। দলনেত্রীর ইচ্ছায় মঞ্চেই সম্মতি দেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল নেত্রীর এহেন ঘোষণার শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন, পদ্মফুল নিয়ে যে-ই দাঁড়াবে, আধ লাখে ভোটে হারাবেন মমতাকে। কিন্তু, দু’জায়গায় দাঁড়ানো চলবে না। বিজেপি নেতারাও বলতে শুরু করেন, ভবানীপুরে হারার ভয়ে নিরাপদ আসন খুঁজছেন মমতা। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একটি কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর কথা শুক্রবার ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। বিকালে শুভেন্দু দাবি করেন,’ভবানীপুরে যত ভোটে হারতেন, নন্দীগ্রামে তার থেকে তিনগুণ ভোটে হারাব’।
আনন্দবাজার জানায়, বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু। তাঁর পাশে দাঁড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রাম থেকে ইতিবাচক রিপোর্টও এসেছে বিজেপির হাতে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শুভেন্দুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিতেই নন্দীগ্রাম হয়ে উঠল রাজ্যের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। লড়াইয়ের ময়দানে মমতার মুখোমুখি শুভেন্দু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।