আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরুর দেশ সৌদিতে গেল তিন দিন ধরে তীব্র শীতের সঙ্গে পড়ছে বরফ। মরুভূমি ও সংলগ্ন পাহাড় বিস্ময়করভাবে ঢেকে গেছে শুভ্র সাদায়। আর এমন সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যা তীব্র আকর্ষণ তৈরি করেছে পর্যটকদের কাছে।
সৌদি যুবরাজও শেয়ার করেছেন চিত্তাকর্ষক ছবি ও ভিডিও। বিরল এ ঘটনা ঘটেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবুকের জর্ডান সীমান্ত সংলগ্ন জাবাল আল-লাউজ, আল-দাহের ও আলকান পাহাড়ে। গেল শুক্রবার থেকে এসব অঞ্চল ঢেকে গেছে পুরু বরফে।
মরুর বুকে বরফ সৌদির উত্তরাঞ্চল পর্যটকদের কাছে সব সময় পছন্দের গন্তব্য। বরফ পড়া শুরুর পর দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন আর সেসব ছবি শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি সৌদি যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন তুর্কি আল-ফয়সালও তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে তুষার আবৃত মরুভূমি ও পাহাড়ের ছবি পোস্ট করে সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে শেয়ার হওয়া এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবিতে মরুভূমির প্রাণি উটের সারা গা বরফে ঢেকে যেতে দেখা যায়। আবার কোনো ছবিতে মরুভূমির অনেক স্থান বরফে ছেয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রতিবছর সৌদি এ দৃশ্য দেখতে না পেলেও গেল দু’তিন বছর এটা হচ্ছে। তবে গতবছর এপ্রিলে বরফ পড়ে চমকে দিয়েছিল সবাইকে।
স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি অবিশাস্য ঘটনা হিসেবে দেখা দেয়। এই দুর্ভোগের মধ্যেও বরফ দেখার এই সুযোগকে বিনোদনের উপলক্ষ করে নিয়েছে কেউ কেউ। এবার এতটাই বরফ পড়েছে যে পর্যটকরা স্কিয়িং পর্যন্ত করছেন। সাড়ে আট হাজার ফুট উচ্চতার জাবাল আল-লাউজ পাহাড় পরিচিত মূলত অ্যালমন্ডের জন্য। এখানে প্রচুর অ্যালমন্ড জন্মায়। আর এ পাহাড়ে প্রতিবছরই তাপমাত্রা কমে আসে।
শুধু সৌদি আরবেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধাক্কা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও পড়েছে। লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের অনেক স্থানে চার ফুট বরফের স্তর পড়েছে।
পশ্চিমাদের মতো অনেককে পাহাড় বরফ বেয়ে গড়িয়ে নেমে আনন্দ করতে দেখা যায়। যেসব জায়গায় বরফ পড়েনি এমন অনেক দূর দূরান্ত লোক বরফ দেখতে ছুটে আসছে। এ অঞ্চলে গরম খাবার হিসেবে কদর বেড়েছে চা ও কফির। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রিয় খাবারগুলোর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
সরকারও অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সড়কে গাড়ির চাপ সামলাতে। এছাড়া যে কোনো জরুরি অবস্থা নিয়ন্ত্রণেও নিয়েছে ব্যবস্থা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।