ফুলে যাওয়ার ব্যাপারটি ঘটে মশার নিজস্ব একটি কৌশলের কারণে। সাধারণত ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী মশাদের প্রচুর রক্ত খাওয়ার দরকার হয়। তাদের পুষ্টির জন্য এটা জরুরি। রক্ত খেলে একটি মশা প্রচুর ডিম পাড়তে পারে, কিন্তু রক্ত খেতে না পারলে সামান্য কয়েকটি ডিম পাড়ে। বংশবিস্তারের জন্যই তাদের রক্ত খেতে হয়।
কিন্তু মশা খুব ভালোভাবেই জানে যে সে হুল ফোটালে মানুষের হাতের চাপড় খেয়ে মরতে হবে। তাহলে কী করা যায়? সে একটা বুদ্ধি বের করেছে। প্রথমে আস্তে করে আমাদের হাতে–পায়ে বসে, এরপর প্রথমে তাদের হুল দিয়ে কিছু ঘন তরল ত্বকের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।
এটা আসলে একধরনের ব্যথানাশক তরল, যা ত্বকের কিছুটা অংশ কিছুক্ষণের জন্য অবশ করে রাখে। এরপর পেট ভরে রক্ত শুষে নিয়ে উড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমাদের ত্বকের ওই স্থানের অনুভূতি ফিরে আসে আর আমরা টের পাই, মশা কামড়াচ্ছে। লাগাই চাপড়।
কিন্তু ততক্ষণে মশা তো হাওয়া, উড়ে চলে গেছে। এ জন্যই অধিকাংশ সময়ই আমরা হাতে চাপড় দিয়ে মশা মারতে পারি না। এখন আসছি কেন ফুলে যায় এবং ওই জায়গা চুলকায়। ওই যে বললাম, মশা প্রথমেই কিছু ব্যথানাশক তরল ত্বকে ঢোকায়। এই তরলের ঝাঁজটা কিছু সময় পরেই শুরু হয়। ফলে ত্বকের ওই জায়গা একটু চুলকায় ও ফুলে যায়।
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ, মশার কত বুদ্ধি! আমাদের কীভাবে বোকা বানিয়ে রক্ত শুষে নিয়ে যায়, আর আমরা ওই জায়গা চুলকাই। জ্বালা জুড়াতে যন্ত্রণা ভোগ করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।