জুমবাংলা ডেস্ক : মিঠাপুকুর উপজেলার চর তরফসাদী গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮জন।
এ সময় হামলাকারীরা সাড়ে ৩শ’ ইউক্যালিপটাস গাছসহ প্রায় ১০ বিঘা জমির ভুট্টা, আখ ও ধান কেটে সাবাড় করেছে তারা।
সোমবার সকালে উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের ওইী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের চর তরফসাদী গ্রামের যমুনেশ্বরী নদীর চরে কিশোরেরা নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলছিল। রোববার পাশের হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের কিশোরেরা তাদের সঙ্গে খেলাতে চায়। তারা ওই কিশোরদের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে প্রায় ৮ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, চর তরফসাদী গ্রামে ছামছুল হক (৪২), সেকেন্দার আলী (৪৫), সেলিম মিয়া (১৮), আনোয়ার হোসেন (৪৫), জাফর আলী (৩০), মজনু মিয়া (২৮), সোহাগ মিয়া (১৫), শাহ জাহান আলী (৪০), কবিরুল ইসলাম (৩০) ও সেলিম মিয়া (৪০)।
এর জের ধরে পরদিন সোমবার সকালে হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে চর তরফসাদী গ্রামের কৃষকদের ফসলী জমিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫ বিঘা জমির ভুট্টা, ৩ বিঘা আখক্ষেত, ২ বিঘা ধান ক্ষেত ও সাড়ে ৩শ’ ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলে। এছাড়াও ৩টি সেচ পাম্প নষ্ট ও একটি ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিন নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ছামছুল আলম বলেন, গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরদিন আবারও হামলা করে জমির ফসল গাছগাছালি কেটে ফেলে সেচপাম্প লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আনছার ভিডিপির সদস্য আহম্মদ আলী বলেন, ওই ঘটনার জের ধরে যমুনেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে চর তরফসাদী গ্রামে যে সব মানুষদের জমিজমা রয়েছে। তারা ওই জমিগুলোর সব ফসল কেটে ফেলেছে।
মিলনপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বিরেন্দ্রনাথ বলেন, আমি হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে হামলাকারীদের কাছে গিয়েছিলাম এ ঘটনা কেন ঘটালো তা জানতে। কিন্তু তারা চরের মানুষদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চর তরফসাদী গ্রামের যমুনেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে লাগানো ভুট্টা, আখ ও গাছগুলো কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের আছের কবিরাজ, আবদুল জলিল, ছামছুল হক, মেনাজুল ইসলাম, আবদুল লতিফ, শহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা এই হামলার নেতৃত্ব দেন। তবে অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।