জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের বানারীপাড়ায় মাথা ঘুরে মহিষ কাটাখালী নদীতে পরে নিখোঁজ হন তুরিকুল ইসলাম নান্না বেপারী নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী। ৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পবনেরহাট সংলগ্ন মহিষ কাটাখালী নদীতে পরে তরিকুল ইসলাম (৫৫) নামের ওই কাঠ ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে কাঠের নৌকা থেকে পরে যেতে দেখে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার ৪ ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১১টায় স্থানীয় ডুবুরিরা সেখান থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে পবনেরহাটের পল্লি চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী নান্না বেপারীর চাচা ও মলুহার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.গিয়াস উদ্দিন মাস্টার জানান, শুক্রবার সকালে তার ভাতিজা তরিকুল ইসলাম নান্না বেপারী বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় কাঠ কিনতে যান। সারাদিন ধরে কাঠ কেটে নৌকায় করে সেই কাঠ সন্ধ্যার পূর্বেই পবনেরহাট স মিলে নিয়ে আসেন। সেখানে সে ওই কাঠ নামিয়ে রেখে সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৭টার দিকে নৌকা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। এ সময় সে পবনেরহাট সংলগ্ন মহিষ কাটাখালী নদীতে মাথা ঘুরে পরে যান।
এ সময় ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্রিজের ওপর থাকা লোকজন তাকে নৌকা থেকে ওই নদীতে পরে যেতে দেখে চিৎকার দেন। তাদের চিৎকার শুনে পবনেরহাটে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে কাঠ ব্যবসায়ী নান্না বেপারীর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস মাস্টারসহ পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে যান। এ সময় স্থানীয় ডুবুরিরা কাঠ ব্যবসায়ী নান্নাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর তারা মহিষ কাটাখালী নদীর তলদেশ থেকে অচেতন অবস্থায় নান্নাকে উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। পরে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গিয়াস মাস্টার আরও জানান, তার ভাতিজা নান্না বেপারী দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ (প্রেসার) রোগে ভুগছিলেন।
গিয়াস মাস্টারের ধারণা, ভাতিজা নান্না বেপারী সারাদিন কাঠ কেটে ও স মিলে সেই কাঠ নৌকা থেকে নামিয়ে রেখে বাড়ি ফেরার সময় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরতে পারে। এ কারণে নৌকা থেকে মাথা ঘুরে নদীতে পরে যেতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো.হেলাল উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।