জুমবাংলা ডেস্ক : ‘মাদক সম্রাট’ বুনিয়া সোহেল ও তাঁর ১৪ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত দুই দিনে পৃথক অভিযানে হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ধর্ষণসহ অন্যান্য অভিযোগে ১৮টি মামলা আছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের র্যাব-৯ ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের র্যাব-২ যৌথভাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কোতোয়ালি থানার দাড়িয়াপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আত্মগোপনে থাকা বুনিয়া সোহেলসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আমির হাসান ওরফে হিরা (৩৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), জামাল হোসেন (২৯) ও মোহাম্মদ শাহিনুর (৩২)। তাঁরা সবাই ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বুনিয়া সোহেল দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পটিতে গ্যাং কালচার চালু করেন। বেশ কিছুদিন ধরে ‘চুয়া সেলিম’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ এই দুই পক্ষের মধ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে দুই পক্ষ। সম্প্রতি কয়েকটি সংঘাতে এসব অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে ও গুলি ছুড়তে দেখা গেছে দুই পক্ষকেই। গোলাগুলিতে দুই মাসে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আহত হয়েছেন এক শর বেশি মানুষ।
অন্যদিকে দিকে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল একই দিন বেলা দুইটার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স থেকে বুনিয়া সোহেলের সহযোগী আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন নুরী বেগম (৩০), মিঠুন (২৪), সাহিল (৩৮), নাঈম (২৪), মো. আজিম (৩৭), বানু বেগম (৫০) ও সাবিক হাসান (২০)। তাঁরাও সবাই ঢাকার মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সূত্র ধরে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি দল গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে একই গ্রুপের আরও ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন আমিন (২৮), ইকবাল (৩৮) ও আসিফ মিয়া (৩৭)। তাঁরাও ঢাকার জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিউর রহমান বলেন, বুনিয়া সোহেল দেশের অন্যতম মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা আছে। সোহেলসহ এ ১৪ জনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেড় লাখে ইতালির চুক্তি, লিবিয়ায় আটকে ৯৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।