জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নূরানী মাদরাসায় পড়ুয়া ৭ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩২) নামে শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ। আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের আবদুল হাই’র ছেলে। তিনি স্থানীয় আল হেরা নূরানী মাদরাসার শিক্ষক।
এ ঘটনায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগে অভিযুক্ত আসামিকে গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে আভূঙ্গী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত ওই মাদরাসা শিক্ষককে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান এ বিডি২৪লাইভকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আভূঙ্গী চর হেলাল নূরানী মাদরাসায় নার্সারীতে পড়াশোনা করে আসছিল। ওই মাদরাসাতে শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেয়া হয়। পরে গত মঙ্গলবার দুপুরে মাদসায় পড়তে গেলে যৌন হয়রানীমূলক আচরণ ও ধর্ষণ চেষ্টা করলে শিশুটির ডাক-চিৎকারে ছেড়ে দেয়। একপর্যায়ে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি বললে ওইদিনই বিকালে গোপালপুর থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিশুটির মা বলেন, আবূঙ্গীর চর সাকিনস্থ আল হেলাল নূরানীর ক্লাস রুমে প্রাইভেট পড়ানোর ছলে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতরস্থানে হাত দেয় লম্পট শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ক্লাসের মেঝের উপর জোরপূর্বক শুইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমার মেয়ে জোরে জোরে কান্নাকাটি এবং চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুর রাজ্জাক আমার মেয়েকে ছেড়ে দেয়। এরপর আমার মেয়ে দৌড়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে আমাকে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।