নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসায় দুই টন আফ্রিকান মাগুর এবং তিন টন জাটকা ইলিশ মাছ দিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরানবাজারে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ এসব মাছ জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো নষ্ট না করে রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসায় পাঠানো হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব নিষিদ্ধ মাছ বিক্রির অপরাধে ১৪ জন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দেশে আফ্রিকান মাগুর মাছের চাষ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। যে পুকুর বা ঘেরে এই মাছ চাষ হয় সেখানে অন্য কোনো মাছ চাষ করা যায় না। কারণ আফ্রিকান মাগুর মাছ খেকো। তারপরও কিছু অসাধু ব্যক্তি এসব মাছ চাষ করছে। এজন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করতে রাজধানীর কাওরান বাজারে অভিযান চালানো হয়।
‘অভিযানে মাছে ফরমালিন আছে কি না পরীক্ষার জন্য মাছের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে আমদানি করা ও স্থানীয় কোন মাছেই ফরমালিন পাওয়া যায়নি। যা ভোক্তাদের সুসংবাদ বটে।’
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩) এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, অভিযানে দেখা গেছে আইন অমান্য করে অবাধে চার থেকে ছয় ইঞ্চি সাইজের জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি আড়তে একই দৃশ্য দেখা গেছে। এ অপরাধে দশজনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সরকারি আদেশ অমান্য করে আফ্রিকান মাগুর বিক্রির অপরাধে চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।