আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মনের মধ্যে যখন রাগ বা হতাশা দানা বাঁধতে থাকে, তখন কি করেন আপনি? চিৎকার, চেঁচামেচি কতো কিছুই হয়তো করতে ইচ্ছা করে তখন। তবে প্রচুর ভাঙচুর করতে পারলে যেন মুহূর্তেই রাগ মোচন হয়। সম্প্রতি মানসিক চাপ এবং রাগ মোকাবিলার জন্য এমনই এক অভিনব পথ বাতলে দিচ্ছে ব্রাজিলের ‘রেইজ রুম’, যেখানে ইচ্ছে মতো ভাঙচুর করে ক্রোধ থেকে মেলে মুক্তি।
রাগের বহিঃপ্রকাশে অনেকেই ভাঙচুর করেন। তবে বাড়িতে নিজস্ব জিনিসপত্র না ভেঙে মাত্র ৪০০ টাকায় যদি ইচ্ছামতো ভাঙচুর করা যায়, তাহলে কেমন হয়? ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে এমনই এক সুযোগ করে দিয়েছে ‘রেইজ রুম’ বা ‘ক্রোধ ঘর’। শহরটির সীমান্ত এলাকার একটি গুদামে নিজেদের মন মতো ভাঙচুর করে রাগ দমন করতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রেইজরুমের ভেতরে রয়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ নানা ধরনের ব্স্তু। গুদাম ঘরটির মালিক সেগুলো ভাঙ্গার জন্য হাতুঁড়ি তুলে দেন কাস্টমারের হাতে।
বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। চাকরি, পড়াশোনাসহ নানা বিষয়ে মানুষের মধ্যে বিষাদ ভর করছে। তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। আমাদের এই উদ্যোগ তাদেরকে একটু হলেও মানসিক প্রশান্তি দেবে।’
প্রথমে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক আর হেলমেট পরে অংশগ্রহণকারীরা দেয়ালে নিজেদের হতাশা বা ক্রোধের কারণগুলো লিখেন। এরপর ওই দেয়াল লিখনকে লক্ষ্য করেই শুরু করেন ভাঙচুর।
একজন বলেন, বেকাত্ব, সংসার সামলানো ও সন্তান মানুষ করা সহ নানা দুশ্চিন্তা ও হতাশা কাজ করে আমার। আমি নিজের সন্তানের ওপর ক্রোধ প্রকাশ করতে চাই না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ‘রেইজ রুম’ অনেক কার্যকরি।
রাগ দমনের এই অভিনব উপায়কে ‘অ্যাঙ্গার ম্যানেজম্যান্ট থেরাপি’ হিসেবে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর আগেও ক্রোধ দমনে নানা ধরনের ব্যতিক্রমী থেরাপি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। তবে বাস্তব জীবনে দীর্ঘমেয়াদে এ ধরণের থেরাপির কার্যকারিতা ও ফলাফল নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। আর তাই, কেউ যদি সত্যিই নিজেরে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।