জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা প্রতিরোধে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের প্রসংসায় ভাসছেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার (৩০)।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় শেবাচিম হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে দায়িত্ব পালন বন্টন হলে অন্য টেকনোলজিস্টরা নানান অজুহাত দেখিয়ে তাদের নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেন নমুনা সংগ্রহকারীর তালিকা থেকে। শেষ পর্যন্ত বিভূতি ভূষন একাই এ দায়িত্ব কাঁধে নেন।
তিনি এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ২৭১ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এ সাহসী কর্মের জন্য ফ্রন্টলাইনের করোনাযোদ্ধা হিসেবে নিজের পরিচিতি পেয়েছেন বিভূতিভূষণ। তার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও আরো সাহস যোগাতে রোববার বিকালে তার জন্য শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক এস.এম. অজিয়র রহমান টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদারকে ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং রকমারি ফলের একটি ঝুড়ি উপহার দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার রবীন শীষ রোববার বিকেলে এ পুরস্কার পৌঁছে দেন। একই দিন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবউদ্দিন খানের পক্ষে তার স্টাফ অফিসার আব্দুল হালিম নগদ ৫ হাজার টাকা, ২ সেট গ্লাভস, ২টি মাস্ক ও ১টি পিপিই এবং ২ ঝুড়ি ফল উপহার দেয়া হয় টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণকে।
উপহার সামগ্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিভূতিভূষণ বলেন, যে কোন পুরস্কার আনন্দের। পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের পাঠানো পুরস্কার তার আত্মবিশ্বাস এবং কাজের গতি আরও বাড়াবে। ভাল কাজের স্বীকৃতি পাওয়া গেলে ভয়কে জয় করে অনেকেই দুঃসাহসিক কাজে অনুপ্রাণিত হবে বলে আশা করেন তিনি।
তথ্যসূত্র : বণিকবার্তা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।