জুমবাংলা ডেস্ক : শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম। বুধবার দেশের তিনটি স্থানে এ কার্যক্রম শুরু হলেও মালয়েশিয়ায় সহসা শুরু হচ্ছেনা। হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে কোনো নীতিমালা এখনও দেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
তবে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অনেকে বলছেন, মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট (এমআরপি)”র চেয়ে ‘ই-পাসপোর্ট’ অধিক নিরাপদ। ‘ই-পাসপোর্ট’ অধিক নিরাপদ হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১১৮টি দেশে এ ধরনের পাসপোর্ট চালু রয়েছে। ‘ই-পাসপোর্ট’ চালু হলে বর্তমান এমআরপির ডাটাবেজ থেকে সব তথ্য ই-পাসপোর্ট ডাটা বেইজে স্থানান্তর করা হবে।
বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে চাহিদা মোতাবেক পর্যায়ক্রমে ‘ই-গেট’ স্থাপনের মাধ্যমে ‘ই-পাসপোর্ট’ ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হলে প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় হয়রানি লাগব হবে।
সূত্র জানায়, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২২৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে: ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এ দিকে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু না হলেও জালান আম্পাং বেছারে খোলা হয়েছে পাসপোর্ট আবেদন, তথ্যসেবা, বিনা পয়সায় আবেদন ফর্ম পূরণসহ তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে চালু রয়েছে হটলাইন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস।
হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানা, যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা রি-ইস্যু পাসপোটর্রে জন্য আবেদনের সঙ্গে তার ভিসার ফটোকপি সংযুক্ত করে যে ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে সে ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে।
সাধারণ শ্রমিক এবং স্টুডেন্টের ব্যাংক ড্রাফ্ট ১১৬ রিঙ্গিত এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ভিসা ফটোকপি। আর যারা প্রফেশনাল ভিসায় অথবা ট্যুরিস্ট ভিসায় দেশটিতে অবস্থান করছেন তাদের ৩৮৫ রিঙ্গিতের ব্যাংক ড্রাফ্ট করে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া যাদের পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে তাদের জন্য থানায় রিপোর্ট করে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এদিকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (নতুন) রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান কাউন্সিলার মো: মশিউর রহমান তালুকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় আমরা প্রবাসী/শ্রমিকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ার জহুর বারু,পেনাং, মালাক্কা, সারওয়াক, ক্যামেরুন হাইলেন্ডসহ দূরের প্রদেশগুলোতে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন ও ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে এবং বন্ধের দিন প্রতি মাসের শনি ও রোববার পাসপোর্ট সেবা দেয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট করতে এবং পাসপোর্ট পেতে অসুবিধা না হয়। গড়ে প্রতিদিন ১২শর অধিক সেবা প্রত্যাশীদের পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।
পাসপোর্ট সেবার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মশিউর রহমান বলেন, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। গত এক বছরে ১,১৮,৪৪৫ লাখ টি পাসপোর্ট আবেদনের বিপরিতে ১,২৬,৭১৪ টি পাসপোর্ট বিতরন করা হয়েছে ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।