স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারাল তারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টলার বোলারদের তোপের মুখে ৮৮ রানে শেষ হয় ঢাকার ইনিংস। জবাবে, মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মিঠুনের চট্টগ্রাম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
হার-জিত স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, প্রশ্ন উঠে তখনই, যখন হারের মধ্যে থাকে না কোনো লড়াইয়ের ছাপ। চির লড়াকু মুশফিকের জন্য যেটা আরও বেশি লজ্জার।
মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই কোনো কিছু পক্ষে আসেনি ঢাকার। শিশিরভেজা আউটফিল্ডে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহাম্মদ মিঠুন। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামায় কিছুটা ধীরস্থিরভাবে শুরু করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক।
কিন্তু তর সয়নি তার বোলারদের। শরিফুলের আগুনে গোলায় ফিরে যান তানজিদ তামিম। জায়গায় দাঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থকে পেটাতে গিয়ে ভুল করে বসেন জুনিয়র। একই ভুল করেন সাব্বির রহমানও। তার ১০ বলে শূন্য রান চাপে ফেলে দেয় দলকে। চাপটা পাহাড়সম হয়ে দেখা দেয় পরের ওভারের প্রথম বলে। যখন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মুশি ধরা দেন সৌম্যর হাতে।
তবে, এসব চাপ কিংবা ভয়, শব্দগুলো অভিধানেই নেই নাঈম শেখের। মুস্তাফিজ আর তাইজুলকে মাঠ ছাড়া করেন উড়িয়ে আর গড়িয়ে। তবে, টেকেননি বেশিক্ষণ। একের পর এক সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে হারিয়ে ফেলেন নিজেকে। মোসাদ্দেকের জোরের ওপর করা বলটা বুঝতেই পারেন নি তিনি। বোল্ড ৪০ রানে।
এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি ঢাকার হয়ে। মুক্তার আলীর ১২ আর অতিরিক্তের ঘর থেকে আসা ৯ রানে ভর করে ৮৮ রান উঠে মুশির দলের স্কোরবোর্ডে।
জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম। শিশির ভেজা বল গ্রিপ করতে তখন অসুবিধা হচ্ছিল ঢাকার বোলারদের। আর সে সুযোগে মাঠের চারপাশে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটান দুই ওপেনার সৌম্য এবং লিটন।
দর্শকহীন মিরপুরে তখন রানের ঝড়। অল্প রানের লক্ষ্য পেয়ে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে চট্টগ্রাম।
তবে, জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে ছন্দপতন হয় লিটনের। নাসুমের বলে বোল্ড হন ৩৪ রানে।
অন্যপাশে তখন কে থামাবে সৌম্যকে? তার হার না মানা ৪৪ এ ভর করে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।