স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট দলের পেস আক্রমণে তার চিন্তায় নেই মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারকে হোয়াইট বলের বোলার মনে করেন তিনি। বোলিংয়ে উন্নতি না আসলে টেস্টে ফেরা হচ্ছে না মুস্তাফিজের। গত বছর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টের আগে এমনটিই বলেছিলেন, বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
এরপর কোচের মনোভাবের প্রমাণ মিলে পরের কয়েকটি টেস্টে। ভারত সফরে সাইডবেঞ্চে ছিলেন মুস্তাফিজ। লাল বলে সুযোগ পাননি পাকিস্তান সফরেও। যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বিশ্বাস করেন, টেস্ট ক্রিকেটে ফিরবেন মুস্তাফিজ।
ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাদা পোশাকে মুস্তাফিজের ফেরা বিষয়ে এই ক্যারিবিয়ান কোচ বলেছেন, আমি মনে করি, ফিজের এখনও বোলিংয়ের গভীরতা রয়েছে এবং সে এখনও টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে পারবে। সে যখন খেলা শুরু করল তখন সাদা বলে অনেক ম্যাচ খেলেছে।
তিনি বলেন, সাদা বলের তুলনায় কম টেস্ট ম্যাচ খেলেছে মুস্তাফিজ। এক্ষেত্রে বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন দরকার যেটা কী-না টেস্ট বোলিং স্কিলে প্রভাব ফেলবে। কারণ টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মাইন্ডসেট ভিন্ন হয়। এই কারণে ওকে দুই ধরনের মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে।
টেস্টে লাইন-লেন্থ ঠিক রাখার পাশাপাশি বল সুইং করানোর ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে মুস্তাফিজকে পরামর্শ দিয়েছেন গিবসন।
সাবেক এই ক্যারিবিয়ান পেসার বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে লাইন-লেন্থ ছাড়াও প্রতিটি ওভারের প্রতি ফোকাস দিতে হবে। অপরদিকে সাদা বলের ক্রিকেট অনিশ্চিত এবং আপনাকে সকল ধরনের স্কিল ও ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করতে হবে। এই কারণে দুই ফরম্যাটের স্কিল অনেকটা ভিন্ন।
টেস্ট ক্রিকেটে গতি নয়, একজন বোলারকে নির্ভুল বোলিং করতে হয়। এ নিয়ে গিবসন বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে আপনার দ্রুতগতিতে বোলিং না করলেও চলবে কিন্তু আপনাকে নির্ভুল হতে হবে। একই সঙ্গে বল সুইং করাতে হবে, সেটা বাতাসে কিংবা উইকেটে যেকোনো জায়গায়।
প্রসঙ্গত, ওয়ানডেতে সফল হলেও, টেস্টে তেমন সফল নন ২৪ বছর বয়সী মুস্তাফিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়ে শুরু করলেও লাল বলের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ২৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ।
অন্যদিকে ৫৮টি ওয়ানডেতে ১০৯ উইকেটের মালিক তিনি। এছাড়া দেশের হয়ে ৪১ টি-২০ তে ৫৮ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।