জুমবাংলা ডেস্ক : খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট বিবেচনা করে আপিল বিভাগ তার জামিন নাকচ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগের রায়ের পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে একথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা তার মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন চেয়েছেন।আদালত এটি বিবেচনা করেছেন। আদালতের এটি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে উনাকে জামিন দিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়তেই সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ৬ জন বিচারপতি তাদের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। নিশ্চয়ই বিএসএমএমইউতে কিছু করার থাকলে ডাক্তাররা ব্যবস্থা নিবে। সঠিক চিকিৎসা ডাক্তাররা দিচ্ছেন, আমি বিশ্বাস করি। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিশ্বাস করেন না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিএসএমএমইউতেই সম্ভব। আইনজীবীদের ৪৩ জনের প্যানেল আছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তাঁরাই পরামর্শ দিবেন।
মিয়ানমার বিষয়ে বাংলাদেশ কেন মামলা করেনি এই প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি রাখাইনে গনহত্যা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস কি আদেশ দেন তার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ। বিশ্বের অবস্থান খুবই পরিস্কার। সেখানের ১৮ জন বিচারক সব শুনে আদেশ বা রায় দিবেন। তারপর পরবর্তী বিবেচনা। আমরা যেহেতু প্রতিবেশী তাই আলোচনার চেষ্টা থাকবে। গণহত্যা হলে বিশ্বের যে কেউ মামলা করতে পারে ।ডি গাম্বিয়া একটি মুসলিম রাষ্ট্র, মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছে এই মর্মে মামলা করেছে গান্বিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।