জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদ মিয়ার বয়স মাত্র ৩২। বিয়ে করেছেন কয়েকদিন আগে। নতুন জীবনের শুরুতে স্বপ্নে বিভোর ফরিদ মিয়ার হাতের মেহেদীর রং শুকানোর আগেই জীবন দিতে হলো ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামে বরমী-কাওরাইদ সড়কের ভিটিপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ ফরিদ মিয়া সাতখামাইর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি কাওরাইদ বাজার সংলগ্ন মের্সাস এইচ এম এন্টারপ্রাইজ নামক বালির গদিতে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গত ৬ নভেম্বর তারিখে গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বার বাড়ি এলাকার ফারজানা আক্তার (২৩) নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন শেখ ফরিদ।
নিহতের খালাতো ভাই আফসার উদ্দিন আকন্দ জানান, শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে কাওরাইদ এলাকার হারুনর রশীদ মোল্লার গদি পরিচালনা করে আসছিলেন। মঙ্গলবার সকালে
নিজের মোটরসাইকেলে করে কাওরাইদ এলাকার তার কর্মস্থল যাওয়ার পথে ডয়ডরমোড় থেকে মাটি আনার জন্য বরমী থেকে ড্রামট্রাকটি ভিটিপাড়া মোড়ে পৌছলে শেখ ফরিদের মোটরসাইকেল সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন তিনি। পরে ট্রাকচালক শরিফুল ইসলাম অন্যান্যদের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে টঙ্গী এলাকা পর্যন্ত যেতেই মারা যান শেখ ফরিদ ।
প্রতিবেশীরা জানান, জীবন সংগ্রামী মানুষ ছিলেন ফরিদ। প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবেন- এমন কথা বলতেন বন্ধু-বান্ধবদের কাছে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিয়ে করেন ফরিদ। কিন্তু বিয়ের দেড় মাসের মাথায় স্ত্রী ও অন্যান্য স্বজনদের স্বপ্নকে রক্তে জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে তাকে। স্বজনেরা আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’ কথাটির মর্মস্পর্শী বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হচ্ছে ফরিদের স্বজনদের। সড়কগুলো নিরাপদ হবে কবে- এমন আবেগ মাখা প্রশ্নও ছিল তাদের।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়ে সাথে সাথেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি থানা হেফাজতে নেয়া হচ্ছে। তদন্তের পর এবং নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।