স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি’র আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্ট অথবা এশিয়া কাপ ছাড়া ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ আর দেখা যায় না। সবশেষ ২০১২ সালে ভারত সফরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।
অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করেছিল ২০০৮ সালে। সেটিও এশিয়া কাপ খেলার উদ্দেশ্যে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ২০০৭ সালে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাও থেমে গেছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সরকার কোনোভাবেই রাজি হয় না দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য। সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ নিরাপত্তা শঙ্কা উড়িয়ে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলে এসেছে। এছাড়া দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর পুরো আসরই হচ্ছে এবার নিজেদের মাটিতে।
অন্তত ৩৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলছেন এ আসরে। অথচ ভারতীয়রা নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে রাজি হয় না। যা নিয়ে বেশ অসন্তোষ পাকিস্তানের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা। যা আরও একবার বেরিয়ে এলো সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদির মাধ্যমে।
ইনসাইড আউট নামের এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি বলেন, যতদিন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আছেন, ততদিন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কোনো ম্যাচ বা সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যতদিন (নরেন্দ্র) মোদি ক্ষমতায় আছেন, ততদিন আমার মনে হয় না ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে। আমরা সবাই, ভারতীয়রা সহ এখন বুঝতে পারছি মোদি কীভাবে চিন্তা করে। তার ভাবনার জগতের পুরোটা জুড়েই শুধু নেতিবাচকতা।
আফ্রিদি আরও বলেন, আমাদের (ভারত ও পাকিস্তান) সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে শুধুমাত্র এই একজন ব্যক্তির জন্য। দুই দেশের মানুষই একে অন্যের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখে। আমি সত্যিই বুঝতে পারি না মোদি আসলে কী চায় এবং এর পেছনে তার মূল উদ্দেশ্যই বা কী?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।