জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইল ফোন কিনতে ২০ হাজার টাকা দরকার ছিল কিশোর সিয়াম হোসেন মিঠুর (১৫)। এজন্য প্রতিবেশির শিশুকে অপহণের পর মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। একাজ করতে গিয়ে মিঠু জবাই করে হত্যা করেছে মোবাশ্বের হাসান (৫) নামের শিশুকে। এরপর পাশের জেলায় একটি বনের ভেতরে শিশুর লাশ ফেলে সে বাড়িতে ফিরে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দুদিন পর সে স্বীকার করেছে অপকর্ম। নৃশংস এ ঘটনাটি পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জের। পুলিশ রবিবার উদ্ধার করেছে শিশু মোবাশ্বের হাসানের লাশ।
সূত্র জানায়, ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়নের নায়েকপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মোবাশ্বের হাসান। পাঁচ বছরের এ শিশুকে শুক্রবার দুপুর থেকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। স্থানীয় কয়েকজন নারী দুপুরে শিশুটিকে প্রতিবেশি কিশোর মিঠুর সাথে বাইসাইকেলে যেতে দেখেছেন বলে দাবি করেন। এ অবস্থায় মিঠুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ঘটনা অস্বীকার করে।
নিখোঁজ হাসানের বাবা শনিবার দেবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। রাতেই সন্দেহবশত স্থানীয়রা মিঠুকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মিঠু শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে। হাসানকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ চার কিলোমিটার দূরে একটি বেতবাগানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে মিঠু জানায়। পরে রবিবার সকালে পুলিশ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার অর্ন্তভূক্ত বেতবাগান থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে। শিশু হত্যার ঘটনায় আটক কিশোর সিয়াম হোসেন মিঠু একই এলাকার আশিকুর রহমান স্বপনের ছেলে। মিঠু ভাউলাগঞ্জ হাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি রবিউল হাসান সরকার বলেন, ‘আটক মিঠুর দেয়া তথ্যে লাশ উদ্ধার হয়েছে। যে ধারালো দা দিয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে তা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।’
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা বখাটে কিশোর শিশুটিকে অপহরণের পর ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে চেয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিপণের টাকা দিয়ে সে ভালো একটি মোবাইল ফোন কিনবে। শিশুটি বেঁচে থাকলে ধরা পড়ে যাবে, এই ভয়ে কয়েকশ গজ দূরের এক বাড়ি থেকে দা এনে শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর সে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।