জুমবাংলা ডেস্ক : চন্দনাইশ থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার জন্য একটি লোকাল বাসে ওঠেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কুতুব উদ্দিন। নিয়মিত ভাড়া ৫০ টাকা হলেও বাসে ওঠার সময় হেল্পার বলেন ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিতে দিতে হবে ৮০ টাকা। কিন্তু বাসে ওঠার পরই কুতুব দেখেন যাত্রীও দ্বিগুণ, ভাড়াও দ্বিগুণ। মানা হচ্ছেনা অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনাও। এরপরই তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলাকায় বাসটি থামিয়ে মামলা দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ এনে ট্রাফিক আইনে মামলাটি দেন সিএমপির বন্দর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মাসুদ রানা।
মো. কুতুব উদ্দিন নামে ওই ছাত্র প্রতিবেদককে বলেন, ‘সকাল ৯ টার দিকে আমি চন্দনাইশ থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার জন্য চট্ট মেট্রো-জ ১১-০৮৬৮ নম্বর প্লেটযুক্ত একটি লোকাল বাসে উঠি। গাড়িতে ওঠার সময় গাড়ির হেল্পার ভাড়া বলে ৮০ টাকা, যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৫০ টাকা। আমি প্রথমে মনে করেছি যেহেতু দুই সিটে একজন করে যাত্রী নেবে সেহেতু নিয়মিত ভাড়ার সাথে ৬০৷ শতাংশ ভাড়া যোগ হয়ে ভাড়া ৮০ টাকা হয়। কিন্তু গাড়ীতে উঠার পর দেখি ভিন্ন চিত্র। যাত্রীও দ্বিগুণ ভাড়াও দ্বিগুণ।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করাতে গাড়ির হেল্পার আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখি পুরো গাড়ির একটা লোকও প্রতিবাদ করেনি। পরে আমি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করি ওখান থেকে আমাকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নাম্বার দেওয়া হয়। পরে কন্ট্রোল রুমে কল করলে সেখান থেকে ট্রাফিক পুলিশের নম্বর দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ রানা ভাইয়ের সহযোগিতায় মইজ্জার টেকে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক আইনে মামলা দেয়া হয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ রানা বলেন, ‘৯৯৯-এ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি ফোন পাই। মইজ্জার টেক এলাকায় পৌঁছালে বাসটি থামিয়ে আমি বাসে উঠি। এসময় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা দিই।’
উল্লেখ্য, টানা ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা মেনে।
নির্দেশনাগুলো হলো— মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে হবে, গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবে, গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে এবং রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ী থেকে আদায় করতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।