আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে অবৈধ বসতি নির্মাণে এগোচ্ছে ইসরায়েল। বুধবার (২৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি ভূমিতে তিন হাজারের বেশি ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে দখলদাররা। খবর রয়টার্স’র।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের একটি পরিকল্পনা কমিটি পশ্চিম তীরে ১ হাজার ৩৪৪টি বাড়ি নির্মাণ ও ১ হাজার ৮০০ বসতি স্থাপনের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে কিনা তা এখন নির্ভর করছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজের ওপর।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল সরকার বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরে নতুন করে এক হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। এ বিষয়ে নাফতালি বেনেট সরকারের আবাসনমন্ত্রী জিব এলকিন বলেন, পশ্চিম তীরে ইহুদিদের উপস্থিতি বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাদের সরকার সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই এর তীব্র বিরোধিতা করছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে অনেকটা নজিরবিহীনভাবে এবার ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই কাজের বিরোধিতা করছে। এর ফলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের যে চেষ্টা চলছে, তা বিঘ্নিত হবে এবং ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
বাইডেন প্রশাসনের প্রকাশ্যে বিরোধিতার পরেও ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণে এগিয়ে যাওয়ায় দুই পুরোনো মিত্রের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা করছেন অনেকে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা যেমন বলেছি, মার্কিন প্রশাসন (পশ্চিম তীরে) বসতি সম্প্রসারণের ঘোর বিরোধী।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত। ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনকে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি, বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সমর্থন পেয়েছে দখলদাররা। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলদার ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ প্রকল্পে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছিলেন। তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের কাজ দেখতেও গিয়েছিলেন।
তবে ইসরায়েল ইস্যুতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট শিবিরে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছিল। সেই চাপ থেকেই বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম তীর ইস্যুতে অবস্থান বদলাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।