ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। নিহত হয়েছেন ইরানের কিংবদন্তি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি ও অন্য আরেক কমান্ডার। এই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে ইরান ও লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুইটি শহর নিউইয়র্ক ও লস এঞ্জেলসের নিরাপত্তা বাহিনীকে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। এই দুই শহরে যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শহর যেকোনো ধরনের হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, শহরে হামলা হতে পারে এরকম কোনো বিশ্বস্ত ও নির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও শঙ্কা বিবেচনায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
মার্কিন এক টেলিভিশনকে মেয়র ডি ব্লাসিও বলেন, ‘গতরাত পর্যন্ত আমরা ইরানের সঙ্গে একটা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি। আমরা এখন অন্যান্য বিষয়সহ সম্পূর্ণ এক বাস্তবতার মুখোমুখি। আমাদের জন্য এটা আরও অনেক সংগঠিত হুমকি। ইরান ও তাদের অনেক এজেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করছে।’
মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বড় শহর লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশও সতর্ক অবস্থানে গেছে। তারা শহরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে খোঁজখবর রাখছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো হুমকি পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।