আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুগান্তকারী প্রস্তাব পাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্রস্তাব পাশের ফলে স’মকা’মীসহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি এখন থেকে মুক্তাঞ্চল। খবর রয়টার্স ও ডিপিএ’র।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে স’মকামীসহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। এর মধ্যে গে, লে’সবিয়ান, রূপান্তরকামীসহ একাধিক যৌ’নবৃত্তির মানুষ আছেন। তাদের বক্তব্য, ইউরোপের বহু দেশে সমকামীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তাদের মানবাধিকার রক্ষিত হয় না। বস্তুত, পোল্যান্ডের প্রশাসন স’মকা’মিতাকে ব্যাধি বলে মনে করে। স’মকা’মীদের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থাও নেওয়া হয় সেখানে। একই পরিস্থিতি হাঙ্গেরিতে। সেখানেও প্রশাসন স’মকা’মীদের অধিকার রক্ষা করে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক রেসোলিউশন বা প্রস্তাবে এই প্রতিটি বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির নাম উল্লেখ করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ইইউ-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউনিয়নের ২৭টি দেশে স’মকা’মী সহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। তাদের উপর কোনো রকম আক্রমণ করা যাবে না। বৈষম্যমূলক আচরণও করা যাবে না। আর সকলের মতো এই গোষ্ঠীর মানুষেরাও স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করতে পারবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৯২ জন আইনপ্রণয়নকারী এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ১৪১ জন বিপক্ষে। ৪৬ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। অর্থাৎ, বিপুল ভোটে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
পোল্যান্ড অবশ্য এরমধ্যেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সেখানকার প্রশাসনের বক্তব্য, তাদের দেশ রক্ষণশীল। সেখানে সমাজ কীভাবে চলবে, তা দেখার এবং বোঝার দায়িত্ব সার্বভৌম সরকারের। নীতি প্রণয়নও সে ভাবেই হয়। স্বাধীন সরকারের নীতিতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।
এখানেই উদ্বেগ। ইউরোপের বহু মানবাধিকার গোষ্ঠীর বক্তব্য, ইইউ যে প্রস্তাব নিয়েছে, তা যুগান্তকারী। কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হবে তো! বহু সিদ্ধান্তই খাতায় থেকে যায়। বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। এক্ষেত্রেও সেই একই বিষয় ঘটবে না তো!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।