আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অ্যাঙ্গোলার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোস এদোয়ার্দোর বড় মেয়ে এখন বিশ্ব মিডিয়ায় বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন। তার নাম ইসাবেলা দোস সান্তোস। আফ্রিকার শীর্ষ এ ধনাঢ্য নারী এর আগেও অনেকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, নিজের দেশকে ঠকিয়ে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। ভূমি, তেল, হীরা ও টেলিকমসহ এমন কোনো লোভনীয় চুক্তি নেই যেখানে তার অংশগ্রহণ নেই। বর্তমানে ইসাবেলার সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব অপকর্মের সঙ্গে তার স্বামী সিন্দিকা দোকোলোও জড়িত।
গোপন নথি অনুসারে, বাবার ক্ষমতাবলে ইসাবেলা ও তার স্বামী নানা সন্দেহজনক চুক্তির আওতায় মূল্যবান সম্পত্তি কেনার সুযোগ পেয়েছিল।
আইসিআইজের দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রিও ফেইনস্টেইন বলেন, ‘ইসাবেলা নিজ দেশের সাধারণ জনগণকে ঠকিয়ে দেশকে শোষণ করেছেন।’
ইসাবেলা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৯৭৫ সালে পতুর্গালের উপনিবেশ অ্যাঙ্গোলা স্বাধীনতা লাভ করার কয়েক বছরের মধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট হন এদুয়ার্দো দোস সান্তোস। এরপর ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকাকালে কঠোর হস্তে দেশ শাসন করেন তিনি।
১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটানা অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এদুয়ার্দো দোস সান্তোস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি অ্যাঙ্গেলার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফও ছিলেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল পিপলস মুভমেন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব অ্যাঙ্গোলার (এমপিএলএ) সভাপতির পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন এ শাসক।
দ্য লুয়ান্ডা লিকস
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসাবেলার বিরুদ্ধে অ্যাঙ্গোলা সরকার দুর্নীতির অপরাধ তদন্ত শুরু করেছে। তার সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তার বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ৭ লাখ গোপন নথিপত্র দেখেছেন বিবিসির সাংবাদিকরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই সংগ্রহ করেছে প্ল্যাটফর্ম টু প্রটেক্ট হুইসল-ব্লোয়ার্স ইন আফ্রিকা।
তারা নথিপত্রগুলো ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের (আইসিআইজে) সঙ্গে শেয়ার করেছে। ৩৭টি গণমাধ্যম নথিপত্রগুলো খতিয়ে দেখেছে। আইসিআইজে নথিপত্রগুলোর নাম দিয়েছে ‘দ্য লুয়ান্ডা লিকস’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।