জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুর সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ সময় অপসারিত মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দাবি আদায় না হলে ঈদের পর রংপুরকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। তার এই বক্তব্যে রংপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বুধবার রাতে তারা পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
এনসিপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর-দালাল-ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেন। এ সময় তারা অপসারিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাদের প্রতিহত করতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এর আগে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাত ৯টায় রংপুর প্রেস ক্লাব এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগর ভবনের দিকে অগ্রসর হয়ে পরে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর নয়ন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা আজ রংপুরে মিছিল করেছে। মিছিলে তারা বলেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে অপসারিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহাল করতে হবে।
প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়ে এনসিপির এই সংগঠক বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, তারা (জাপা) আবু সাইদের রংপুরে কীভাবে মিছিল বিক্ষোভ করার সাহস পায়? মিছিলে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দোসর-চামচাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তা নাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম দোসর ছিল জাতীয় পার্টি। তারা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে গুম-খুনসহ সকল অন্যায়ের সহযোগী হয়েছিল। সুবিধাভোগী জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার আর কোনো অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের মতো অবিলম্বে এই জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
এর আগে বুধবার দুপুরে রংপুর সিটির অপসারিত জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে পূর্বের মতো কার্যকর করবেন বলে প্রত্যাশা করি। আর যদি না করেন তাহলে ঈদের পরে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।