স্পোর্টস ডেস্ক : সরকার গঠনের পর নানা বিষয়ে কঠোর অবস্থানে গেলেও, পুরুষদের ক্রিকেট খেলার ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি তালেবানরা। নানা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। বিশ্ব আসরে অংশ নেয়া রশিদ-নবীদের শুভকামনা জানিয়েছে আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কাবুলে সবুজ রঙের দেখা মেলেনা সহজে। মাঠে ধুলো ওড়ে, ঘাস নেই কোথাও। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরটাকে আগলে রাখার চেষ্টায় উত্তপ্ত পাহাড়। চোখ মেললেই নিথর মেঘের ভাঁজে মাথা গুঁজে থাকা পর্বতের সন্ধান পাওয়া যায়। সবখানে ক্লান্তির ছাপ। জীবন যুদ্ধের ক্লান্তি। বুলেট-কামানের যুদ্ধের ক্লান্তি।
তালেবানের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। আফগানিস্তানের নারী অ্যাথলেটদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তায় ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তালিবানের অনুমতি পেয়েই বিশ্বমঞ্চে রশিদ-নবীরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন দলের সাফল্যের আশায় দিন গুনছে দেশটির মানুষ।
মোহাম্মদ ইকবাল নামে দেশটির এক ক্রিকেট ভক্ত বলেন, ‘আফগানিস্তান আমাদের জাতীয় দলের উচিত একতাবদ্ধ হয়ে খেলা। দলের মাঝে ঐক্য থাকলেই ভালো করা সম্ভব। যেহেতু অধিকাংশ ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক লিগে খেলে আর সবাই অভিজ্ঞ, আমার বিশ্বাস আমাদের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত সেমিফাইনালে যাবেই।’
খুশাল নামে এক তালেবান সদস্য বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খুব পছন্দ করি। আমরা ইসলামের জন্য লড়েছি। কিন্তু, ক্রিকেটকে ভুলে যাইনি।’
তালেবানরা আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পর বিশ্বকাপে রশিদ-নবীদের বিপক্ষে খেলা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও বিশ্ব ক্রিকেটে উত্থানরত দলটিকে খেলতে বাধা দেয়নি আইসিসি। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বিশ্বকাপের ময়দানে পা রেখেছে মানসিকভাবে চাপে থাকা দলটা। চামান-ই-হুজুরি গ্রাউন্ডে স্থানীয়দের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।