আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ৩০ বছরের অপেক্ষার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো লিভারপুল। এতে ভক্ত-সমর্থকরা আনন্দ উদযাপনটা একটু বেশিই করতে পারে।
তাই বলে অলরেড সমর্থকরা শিরোপা উৎসবে এতোটাই মাতোয়ারা ছিল যে, তাদের ছুড়ে মারা আতশবাজিতে লিভারপুল শহরের রাজকীয় ভবনে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন নেভাতে চারটি ফায়ার ইঞ্জিন পাঠাতে হয় প্রশাসনকে।
সমর্থকদের এমন বাড়াবাড়ি ধরনের উল্লাস নিয়ে প্রবল সমালোচনা চলছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন লিভারপুলের মেয়র এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তারা।
শুক্রবার চেলসির কাছে ম্যানচেস্টার সিটি হেরে যেতেই তিন দশক পরে ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যায় লিভারপুলের।
সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের কোনো নিয়মের পরোয়া না করে হাজার হাজার মানুষ পায়ার হেড, লিভার বিল্ডিং লাগোয়া রাস্তায় নেমে আসেন।
লিভারপুল শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাজি ফোটাতে শুরু করেন সমর্থকরা। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা তো দূরের কথা আলিঙ্গন, গান-নাচা ইত্যাদি চলতে থাকে।
শুধু তাই নয়, উৎসবের জায়গাগুলোয় ক্লাব সমর্থকেরা আবর্জনা ফেলেও নোংরা করে।
‘লিভারপুল ইকো’তে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে সমর্থকদের এমন তাণ্ডব দেখা গেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের দিকে কাঁচের বোতল ছুড়ে মারছেন কয়েকজন সমর্থক। তাদের ছোড়া আতশবাজিতে একটি বিল্ডিংয়ের বেলকনিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে কেউ ছুটে না গিয়ে উল্টো হাততালি দিচ্ছেন আর চিৎকার করছেন।
এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্সেসাইড পুলিশকে কঠোর হতে হয়েছে। দুইজনের বেশি জড়ো হওয়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাতভর অলরেড সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আমাদের। ১৫ জন উছশৃঙ্খল সমর্থককে গ্রেফতার করেছি আমরা।
লিভারপুল ক্লাব, সিটি কাউন্সিল এবং পুলিশ বিভাগ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, শহরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এখনও ঠিক হয়নি। কিছু সমর্থকের এমন অসচেতন আচরণ মেনে নেয়ার মতো নয়। এমন কাণ্ডে দ্বিতীয়বার শহরে করোনা সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।আমাদের সবাইকে একসঙ্গে সংক্রমণ রুখতে চেষ্টা করতে হবে।
এদিকে নব্বইভাগ সমর্থক সংযত আচরণ করেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ উদযাপন করেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে লিভারপুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



