জুমবাংলা ডেস্ক : আগামীকাল পবিত্র ঈদ উল আজহা। তবে বছরের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর মধ্যে ঈদ উল ফিতরের পর এসেছে ঈদ উল আজহা। মহামারীর শক্ত অবস্থান যেন কোনভাবেই দেশের মানুষকে ফেরাতে পারছে না। সবাই বাড়ির পথে। তবে স্বাস্থবিধি মানছেন সবাই। শুক্রবার সন্ধ্যায়ও রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ বাড়িতে ফেরার তাগিদে যাত্রা করছেন। এ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। ঈদুল আজহার ছুটিতে ইতোমধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়েছে ঢাকা। কিন্তু গাবতলীতে সেই চিরচেনা ভিড়। যেন ঘরমুখী মানুষের সব স্রোত এসে মিশেছে গাবতলীতে।
চলতি বছরের মার্চে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে মে মাসের শেষে ঈদুল ফিতরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত প্রায় বন্ধ থাকে। তবে এ ঈদে বন্ধ করেনি সরকার। যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে কোন কোন পরিবহন মানছে না সরকার থেকে নির্ধারিত নিয়মনীতি মানছে না। ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ বাসে সব সিটেই যাত্রী দেখা গেছে। বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইসমত আলম জানান, মহামারীর কারণে গেল ঈদে তিনি বাড়ি যাননি। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মান্য করে বাড়ি যাচ্ছি।
নগরীর বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় জমে। তবে বাস কম থাকায় বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। দূরপাল্লার বাসের তীব্র সঙ্কট এবার। প্রতি ঈদে রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এবার সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ ট্রেন নেই। ফলে বাসে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে সে তুলনায় বাসের সংখ্যা বাড়েনি। পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনে টানা প্রায় তিন মাস বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক বাস বিকল হয়ে গেছে।
তবে মাওয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে প্রচুর পরিমানে যানজট লেগে আগে আছে। বিশেষ করে আরিচা ফেরি ঘাটে ঢাকার অংশে হাজার হাজার ট্রাক ও বাস যানজটে দাঁড়িয়ে আছে বলে খবর পাওয়া যায়। গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে অনেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে রাজধানীর কাছের জেলাগুলোতে যাচ্ছেন। গাবতলী বাস টার্মিনালের বাইরে বাম কোণায় বসেছে মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড। এখান থেকে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিচ্ছেন চালকরা। ভাড়া নিচ্ছেন জেলাভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। লোকাল বাসগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাটের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে ১০০ টাকা থাকলেও আজ জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত জনপ্রতি আদায় করা হয় ৩০০ টাকা করে।
শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলিয়ায় ৩ নম্বর রো-রো ফেরি ঘাটের পদ্মা নদীর পাড়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ৩ নম্বর ঘাটের সামনের রাস্তা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি আধা পাকা স্থাপনা ও একটি মসজিদ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ভাঙন শুরু হয়। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে ডুবোচরে লৌহজং টার্নিং চ্যানেল বন্ধ থাকায় ৫ কিলোমিটার দূরের ভাটি ঘুরে বিকল্প চ্যানেলে চলাচল করায় ফেরিগুলোর গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই গুণ বেশি সময় লাগছে।
বিআইডব্লিটিসির শিমুলিয়া ঘাটের কর্মকর্তা সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে বর্তমানে ৫টি কে-টাইপ, ৩টি রো-রো ফেরি ও ২টি মিডিয়ামসহ ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ডাম্প ফেরিগুলো প্রচণ্ড স্রোতের বিপরীতে চলতে না পারায় ৬টি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।