জুমবাংলা ডেস্ক : মঞ্চের সামনে বসা ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে করে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে দলটির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ভেস্তে গেছে। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের উপস্থিতিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভেলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের কথা ছিল। তবে অনুষ্ঠান শুরুর সময় সংঘর্ষে জড়ায় জেলা বিএনপির দুই পক্ষ। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের উপস্থিতিতে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে মঞ্চের সামনে বসা ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, রবিউল আলম সৈকত, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবু হানিফ বিপ্লব, ওয়াহেদ রানা, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল, কাজলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হামলায় আহত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার নেতৃত্বে কিছু চিহ্নিত ও কারাভোগ করা সন্ত্রাসী রিজভী আহমেদসহ নেতাকর্মীদের মঞ্চে যেতে বাধা দেয়। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তারা হামলা চালায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক তার চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এমন বর্বরোচিত হামলা করান।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালিয়েছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ।’
নিজের উপস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।