জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরা শহরের রোকেয়া বেগম। স্বামী ফেলে গেছেন। হত দরিদ্র এ নারী টাকার জন্য হাসপাতালে আটকে ছিলেন।
সেই টাকা শুধু পরিশোধই করেনি। তার পরিবারে ঈদও রাঙ্গিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ফেসবুকে পেজে অসহায় এ নারীর অভাবী গল্পটি ফুটে উঠেছে।
পুলিশের ফেসবুক পেজে বর্ণনা দেওয়া হয়- সাইক্লোন আম্ফান আঘাত হানার রাতে প্রসব ব্যাথা নিয়ে সাতক্ষীরা শহরে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন রোকেয়া। কিন্তু এরই মধ্যে স্বামী তাকে ছেড়ে গিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন। হাতে টাকা নেই। কিন্তু সন্তান জন্মদানের জন্য হাসপাতালে যাওয়া জরুরি।
প্রতিবেশীর কাছ থেকে ৬০০ টাকা ধার নিলেন। সে টাকা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি। তার কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু রোকেয়ার মুখে হাসি নেই। আছে রাজ্যর দুশ্চিন্তা। জন্মদানে খরচ ২৬ হাজার টাকা। কোথায় পাবেন এত টাকা? কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে এলেন। নিজেরা চাঁদা তুলে সামান্য কিছু টাকাও তাকে দেন।
ফেসবুকে পুলিশ আরও লেখে, বাকি টাকার জন্য এদিক-ওদিক ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। তখন একজন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। সমস্যার বিস্তারিত জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ঘটনা শুনেই রোকেয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে পুলিশ।
হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সাত হাজার টাকা বিল কমানো হয়। এরপর বাকি ১৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে পুলিশ। রোকেয়া সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেলা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্তানসহ তাকে বাড়ি পৌঁছেও দেয় পুলিশ।
এ সময় ঈদ উপহার হিসেবে শিশুটির জন্য নতুন পোশাক, ফুল-ফল এবং রোকেয়ার হাতে কিছু টাকা দেওয়া হয়।
রোকেয়া বেগম আনন্দে কেঁদে ফেলে বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দোয়া করছি। তারা আমার পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, এভাবে যেনো সবার পাশে দাঁড়ায়। তারা দেবদূত হয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমি কখনও তাদের অবদান ভুলব না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।