ফরিদপুরে কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা হ ত্যার তিন বছরেও গ্রে’ফ’তার হননি তার স্বামী সোহানুর রহমান সোহান। মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে হ ত্যাকারীর বিচারের জন্য আজও কাঁদছেন বাবা-মা।
২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যৌ’তু’কের বলি হন সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রোদেলা। নি’র্ম’ম নি’র্যা’তনের পর তাকে শ্বা’সরো’ধে হ ত্যা করেন স্বামী সোহান, ননদ সুমি, শাশুড়ি আনোয়ারা।
নি হতের বাবা ফরিদপুর শহরের আলিপুরের শওকত হোসেন খান জানান, পু’লি’শের ‘তদ’ন্ত ও ম’রদে হের ভি’সেরা রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে, রোদেলাকে শ্বা’সরো’ধে হ ত্যা করা হয়েছে। তবু কেন আ’সা’মিদের গ্রে’ফ’তার করা হচ্ছে না? তিন বছর ধরে আ’সা’মিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালচামট নতুন বাজারের মমিনুর রহমান সেন্টুর ছেলে প্রবাসী সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোদেলার। বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা যৌ’তু’কের জন্য তাকে উঠতে বসতে মানসিক নি’র্যা’তন করা হতো। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী, শাশুড়ি, ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে শ্বা’সরো’ধে হ ত্যা করে রোদেলাকে। ওই ঘটনায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নি’র্যা’তন দমন ট্রাইব্যুনালে মা’ম’লা হয়েছে।
কোতোয়ালি থা’নার এসআই গাফফার জানান, ম’রদে হের ভি’সেরা রিপোর্টে শ্বা’সরো’ধে হ ত্যার আলা’মত পাওয়া গেছে। ত’দ’ন্ত শেষে রোদেলার স্বামী সোহান, ননদ সুমি, শাশুড়ি আনোয়ারা, ভাসুর সুমন, ভাসুরের স্ত্রী রেখা, শ্বশুর সেন্টু, ননদের স্বামী হাফিজ, সোহানের মামাতো ভাই সাজিদের বি’রু’দ্ধে আ’দা’লতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মা’ম’লায় ১৭ জন সাক্ষী রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সোহান প’লা’তক রয়েছেন। তাকে গ্রে’ফ’তারে অভি’যান চলছে।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নি’র্যা’তন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, প্রধান আ’সা’মি সোহানকে আ’দা’লতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। এরপর মা’ম’লার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।