জুমবাংলা ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কলারোয়া উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
অনেকে ইঞ্জিনভ্যানযোগে জেনারেটর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে, আবার কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে জেনারেটর ভাড়া নিয়ে মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রিক যন্ত্র চার্জ দিয়ে রমরমা ব্যবসা পরিচালনার করছেন।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গত ২০ মে থেকে উপজেলার পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পল্লী-বিদ্যুতের সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। আম্পানের একদিন পর পৌরসদরের সরকারি দপ্তর ও আবাসিক এলাকায় সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে অধিকাংশ বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার কাকডাঙ্গা বাজারের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমানসহ অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর বাড়িতে নেই বিদুৎ। নেই আয়ের উৎস। মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি চার্জ দিতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হচ্ছে।
মোখলেছুর রহমান জানান, কাকডাঙ্গা বাজারের শফি ডেকোরেটার তার নিজের দোকানে জেনারেটর দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ব্যাটারিতে চার্জ দিচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চার্জ দেওয়ার জন্য। একই অবস্থা কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া মোড়, ফকিরপাড়ার মোড়, শাকদাহ, যুগিখালী, বুইতা, মাদরা, গয়ড়া, বুঝতলাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
কেড়াগাছি এলাকার রফিক, সেলিম হোসেন, চন্দনপুর গ্রামের ফারুকসহ কয়েকজন জানান, জেনারেটর থেকে চার্জ দিতে প্রতিটি বাটন মোবাইল ফোন ১৫ টাকা, স্মার্টফোন ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টর্চলাইট ২০ টাকা ও ল্যাপটপ চার্জ দিতে ৪৫ টাকা দিতে হচ্ছে এসব জেনারেটর ব্যবসায়ীদের।
তারা আরও জানান, জেনারেটরে চার্জ দিলে ভোল্টেজ আপডাউনের কারণে অনেকের আবার মোবাইলসহ ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি নষ্টও হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী মাসুম আহম্মেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা জেলায় ১ হাজার ৭৮২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়ে গেছে বহু জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলারোয়া উপজেলায়। সংস্কারের কাজ চলছে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।