শান্ত টেকনাফ, আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ
জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছিল যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৪মে) সকালে সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ ও বাহারছড়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন খবর নিয়ে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে শনিবার সন্ধ্যায় আশ্রয় কেন্দ্র আসা মানুষ রোববার সকালে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা লোকজনও তেমন কোনো আতঙ্কে নেই বলে জানা গেছে। তার পরেও উপজেলাজুড়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র সরজমিনে গিয়ে আশ্রিতদের খোঁজখবর নিয়েছেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) এরফানুল হক চৌধুরী, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিমসহ অনেকেই।
এদিকে রাতে মোখা আতঙ্কে আশ্রয় কেন্দ্র আসা কয়েকটি কেন্দ্রের নারী, পুরুষ ও শিশুদের নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জানান, রাতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে যা এখনো হচ্ছে। সাগরে ভাটা, পানির উচ্চতা তেমন নেই। মাঝে মাঝে বাতাসের গতি বাড়ছে। তবে অনেকে সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে দেখেছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, রাতদিন আমাদের তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ইনশাল্লাহ টেকনাফে এখনও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমরা সবাই সজাগ আছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।