জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃ সদন) থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
সোমবার দুপুরে শহরের গোপালবাড়ী এলাকায় কেন্দ্রের ভাণ্ডার থেকে এসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবহেলা ও গাফিলতিতে এসব ওষুধ নষ্ট হয়েছে।
কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্রের তিনতলা ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে ওষুধ ভাণ্ডার পরিস্কার করার সময় সেখানে অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যার মধ্যে রয়েছে মূল্যবান সেফট্রিয়াক্সন, মেট্রোনিডাজল, কটসন ইনঞ্জেকশন, বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক, স্যালাইন ও গজ-ব্যান্ডেজসহ নানা ওষুধ।
সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শারমিন রহমান অমি অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার সমস্ত যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এখানে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন না। গত দুই বছরে এ কেন্দ্রে মাত্র দুটি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি (মোস্তাফিজুর) সিজার করতে আসা রোগীদের অন্যত্র প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিতেন। তার অবহেলা ও গাফিলতিতে এসব মূল্যবান ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে।’
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ওষুধের মূল্য আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হবে বলে জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। এতে কিছু ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এগুলো সরকারি নিয়মানুযায়ী শিগগিরই ধ্বংস করা হবে।’
তবে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. পীযুষ চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘এ ঘটনায় চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবহেলার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।