জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকায় ধা’রালো অ’স্ত্রের আ’ঘাতে নিকিতা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে হ’’ত্যার ঘটনায় করা মা’মলায় ভাতিজি জেসমিন আক্তার রূপার স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি নিয়েছে আ’দালত। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আ’দালত তার জ’বানব’ন্দি গ্রহণ করেন। আ’দালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা এদিন আ’সামি জেসমিন আক্তারকে আ’দালতে হাজির করেন। এরপর আ’সামি স্বেচ্ছায় জ’বানব’ন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আ’দালত আ’সামির জ’বানব’ন্দি রেকর্ড করে তাকে কা’রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা গেছে, স’ন্তানকে চড় (থা’প্পড়) দেয়ায় ফুফু নিকিতা আক্তার (৪০) ও ভাতিজি জেসমিন আক্তারের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা ও একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি।
এসময় ঘরে থাকা শিলপাটার শিল দিয়ে ফুফুর মাথায় আ’ঘাত করেন জেসমিন। এতে নিকিতা মাটিতে লু’টিয়ে পড়লে বটি দিয়ে বুকে বসে উপর্যুপরি কো’পাতে থাকে জেসমিন। এতেই নিকিতার মৃ’ত্যু হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুরের মধ্যে যেকোনো এক সময় রাজধানীর গুলশান থানার নদ্দা এলাকায় ভাতিজির শিলের আ’ঘাতে ফুফু নিকিতার মৃ’ত্যু হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অ’ভিযুক্ত জেসমিন আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রে’ফতার করে এবং নিকিতার ম’রদেহ উ’দ্ধার করে সু’রতহাল শেষে ম’য়নাত’দন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ম’র্গে পাঠায়।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নিকিতার ম’রদেহের ম’য়নাত’দন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর নিকিতার ম’রদেহ নিয়ে তার ভাই মো. আজাদ হোসেন গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হয়। পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলশানের নদ্দায় এ হ’’ত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে গ্রে’ফতার জেসমিন আক্তার তার ফুফুকে হ’’ত্যার বি’ষয়টি স্বীকার করেছেন। ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিকিতা আক্তার-মুরাদ দম্পতি রাজধানীর গুলশান থানার নদ্দা এলাকায় নিজ বাসায় থাকতেন।
এ দম্পতির কোনো স’ন্তান নেই। এদিকে, দু’একদিন আগে ভাতিজি জেসমিন আক্তার তার দুই মেয়েকে নিয়ে ফুফুর বাসায় (নিকিতা) বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার ভোরে যখন নিকিতা ঘুমিয়ে ছিলেন তখন জেসমিন আক্তারের বড় মেয়ে ঘরে পানি ফে’লে দেয়। এতে নিকিতার ঘুম ভে’ঙে যায়। বির’ক্ত হয়ে ভাতিজির ওই মেয়েকে থা’প্পড় মা’রেন তিনি। এতে জেসমিন ক্ষি’প্ত হয়ে উঠে তার ফুফুকে (নিকিতা) জিজ্ঞাসা করেন কেন তার মেয়েকে মারলেন। এতে তাদের মধ্যে বা’গবি’ত’ণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে নিকিতা তার হাতের কাছে ঝাড়ু জাতীয় কিছু দিয়ে জেসমিনকে আ’ঘাত করেন। তখন জেসমিন ক্ষো’ভে ঘরে থাকা শিল দিয়ে ফুফুর (নিকিতা) মাথার পেছনে আ’ঘাত করেন। এরপর নিকিতা মাটিতে পড়ে গেলে বটি দিয়ে বুকে বসে উপর্যুপরি কো’পাতে থাকেন জেসমিন। এতে ঘটনাস্থলেই নিকিতার মৃ’ত্যু হয়। সুত্রঃ বিডি ২৪ লাইভ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।