জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার উপসর্গ নিয়ে ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আরাফাত নামের এক কিশোরকে গত ২০শে এপ্রিল তার বাবা ভর্তি করেন ময়মনসিংহ নগরীর এস কে (সূর্য কান্ত) হাসপাতালে। ভর্তির দু’দিন পর ২২শে এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরাফাত হোসেন (১৭)। কিন্তু করোনা সন্দেহের কারণে মৃতদেহ নেয়নি পরিবার।
জানা যায়, আরাফাত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া এলাকার চড়ুইতলা গ্রামের মজনু মিয়ার সন্তান। গত ২০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সে নগরীর এসকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর দুই দিন পরই সে মারা যায়। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। এরপরও মৃত আরাফাতের মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ না করায় মরদেহ ৪৩ দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
এদিকে, মৃত্যুর ৪২ দিন পর বুধবার আরাফাতের বাবা কোতোয়ালী থানায় লিখিতভাবে মরদেহ গ্রহণে অনিচ্ছার কথা জানান। পরিবার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আরাফাতের বাবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ত্রিশাল থানা ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, মজনু মিয়া ত্রিশালের ঠিকানা ব্যবহার করলেও তার ছেলে থাকতো ফুলবাড়িয়ার আছিম গ্রামে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।