মোহাম্মদ আরজু, ইউএনবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন মিয়া সবজি চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ২৫ বিঘা জমিতে তিনি সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তার বাগানের উৎপাদিত সবজি জেলার বিভিন্ন বাজারসহ আশপাশ জেলাতেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
মহিউদ্দিন মিয়া জানান, ২০০৮ সালে একই গ্রামের তার বন্ধু জামাল মিয়ার সাথে যৌথভাবে ৫ বিঘা জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। শুরুর দিকে তেমন পুঁজি ছিল না। তাই স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দুই বন্ধু মিলে ৫ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন।
এভাবে জামাল মিয়ার সাথে কয়েক বছর যৌথভাবে সবজি চাষ করার পর ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন মিয়া নিজের জমি ও গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে মোট ২৫ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেন। মহিউদ্দিন মিয়ার বাগানে বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা এম এ সাহেদ বলেন, ‘আগে আমরা প্রতি বিঘা জমি বছরে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা জমায় (ভাড়া) দিতাম। বর্তমানে প্রতি বিঘা জমি সবজি চাষের জন্য বছরে ৭ হাজার টাকা করে জমায় দিচ্ছি।’
কৃষক মহিউদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে টমেটো, পেঁপে, লাউ, ফুলকপি, করলা, ব্রকুলি (সবুজ ফুলকপি), ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ক্যাপসিকাম চাষ করেছি।
‘গত বছর ১৮ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে একটি বিল্ডিং বানিয়েছি। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
তাদের সবজির বাগান দেখে এলাকার যুবকরাও সবজি চাষে অনুপ্রাণিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গ্রামের আরও ১২ জন যুবক সবজি চাষ শুরু করেছে। সরকারি চাকরি ও বিদেশ যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে বেকার যুবকরা যদি যুব উন্নয়ন বা অন্য কোনো জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন তাহলে দেশের বেকার সমস্যা থাকবে না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা মুন্সি তোফায়েল হোসেন জানান, সদর উপজেলার ৬৫০ হেক্টর জমিতে এবছর সবজি চাষ হচ্ছে। সবজি চাষে কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছে। কৃষকরা দিনদিন আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার সবজির বাগানসহ অন্যান্য সবজির বাগানগুলো তিনি নিয়মিত তদারকি করেন। এ সব সবজির বাগানে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।