জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া শাজাহানপুরে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে না পেরে অধ্যক্ষের বাড়িতে গিয়ে হুমকি এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা ইনোকীর বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের ভয় দেখানো হয়েছে।
আলী ইমাম ইনোকী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানায় ইনোকীসহ আটজনের বিরুদ্ধে এজাহার দিয়েছেন।
ওসি আজিম উদ্দিন জানান, তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যুবলীগ নেতা দাবি করেন, আসন্ন গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাই প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র করছে।
জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ইনোকীর নাম বাদ দিয়ে সভাপতি পদে গোহাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী আলী আতোয়ার ফজু, অনুপ্রবেশকারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ও আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতির প্রস্তাব করেন। এ ব্যাপারে গত ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
বগুড়ার শাজাহানপুরের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন এজাহারে অভিযোগ করেন, সভাপতির নাম প্রস্তাব না করায় যুবলীগ নেতা ইনোকী ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে কর্ণপাত না করলে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে।
এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর আবারও চাঁদার টাকা দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে (অধ্যক্ষ) ধাক্কাধাক্কি করে। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ এবং তুলে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুমের হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা করলে স্ত্রী লাভলী আকতার বাধা দেন ও চিৎকার করতে থাকেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা চাঁদা না দিলে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী বলেন, অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন নিজেই তাকে সভাপতি করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার পরিবর্তে দু’জন অনুপ্রবেশকারীসহ অশিক্ষিত তিনজনের নামে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ফোন না ধরায় বাধ্য হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা চাঁদা দাবি, হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেননি। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ কারণে প্রতিপক্ষ তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।