জুমবাংলা ডেস্ক : সমন্বয়ক পরিচয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পথসভায় বাধা ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার শহরের তেঁতুলতলা এলাকায় ‘শোষণ-বৈষম্য বিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ শীর্ষক পথসভায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে শহরের তেঁতুলতলা এলাকায় সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত পথসভা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন যুবক পথসভার ব্যানার ও সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।
এ সময় তারা সিপিবির নেতাদের ফ্যাসিস্টদের দোসর আখ্যা দিয়ে পথসভায় বাধাঁ দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ধাক্কা দিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করেন। তাৎক্ষণিক সভা শেষ না করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সিপিবির নেতারা।
পরে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স তার আইডি থেকে একটি পোস্টে লিখেন, ‘১৩ নভেম্বর ২০২৪। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় এর তেঁতুলতলার পথসভায় বক্তব্য শেষ করতে পারলাম না। পথসভা করতে দেওয়া হোল না। ওরা কারা? প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই। সারা দিনের অন্যান্য কর্মসূচি চলবে। ধৈর্যেরও সীমা আছে!!!
মুহূর্তেই পোস্টটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেটিজেনদের বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েকজন ছেলে আমাদের পথসভায় এসে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনকে শাসিয়ে বলতে শুরু করেন, আপনারা এখানে কি করছেন। তখন আমি তাদের বলি আমার সাথে কথা বলো।
তিনি বলেন, ‘তারা উচ্চ স্বরে চিৎকার–চেঁচামেচি করে ব্যানার কেড়ে নেয়। তবে পুলিশের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। পরে আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি। আমরা এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’
এই বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, ‘সিপিবির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।