স্পোর্টস ডেস্ক: আফ্রিকান নেশন্স কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারলো না দুই দলের কেউই। গোল হলো না অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও। ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। সেই টাইব্রেকারের স্নায়ুযুদ্ধে জিতলো মিসর।
বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ক্যামেরুনকে টাইব্রেকারে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মোহামেদ সালাহর দল।
ম্যাচের শুরু থেকে মিসরকে কোণঠাসা করে রেখেছিল ক্যামেরুন। ভাগ্য ভালো থাকলে গোল পেয়ে যেতে পারতো ১৮ মিনিটেই। মাইকেল এনগাদেউ-এনগাদুইয়ের হেড পোস্টে আটকে যায় তখন। ভিনসেন্ট আবুবাকারের শটও একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
টানা দ্বিতীয় কর্নারে আবার সুযোগ আসে ক্যামেরুনের সামনে। কর্নার থেকে ফ্লিকে বল ফাঁকায় পান মাইকেল। তবে তাড়াহুড়ায় ঠিক মতো শট নিতে পারেননি।
উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচের ৯০ মিনিটে মিসর কোচ কিরোজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ডাগআউট ছাড়েন। কিছু পরে রেফারির সিদ্ধান্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সহকারী কোচ গোমাও হলুদ কার্ড দেখে বসেন। এর আগে নকআউটে আরও একটা হলুদ কার্ড দেখায় ফাইনালে ডাগআউটে থাকা হচ্ছে না তারও।
অতিরিক্ত সময়ে মিসরের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল। ১০০ মিনিটে বক্সের কোণা থেকে মোহামেদ সালাহর ট্রেডমার্ক শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় একটুর জন্য। ১১৭ মিনিটে রামাদান সোভির ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে ভালো শুরু করেছিল ক্যামেরুন। আবুবাকার এগিয়ে দেন দলকে। জবাবে জিজুর গোলে ১-১ সমতা আনে মিসর। এরপরই মিসর গোলরক্ষক আবু গাদালের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে ক্যামেরুন।
হ্যারল্ড মুকুদি ও জেমস লিয়া সিলিকির শট ঠেকিয়ে দেন আবু গাবাল। পরের দুই শটে মিসর ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহামেদ আব্দেলমোমেন আর মোহামেদ লাশিনের গোলে।
এমন মুহূর্তে স্নায়ু ধরে রাখতে পারেননি ক্লিন্টন এন’জিয়ি। শেষ শটটা তিনি উড়িয়ে মারেন আকাশে। তাতেই শেষ হয়ে যায় ক্যামেরুনের স্বপ্ন।
মিসর আর সেনেগালের মধ্যে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালটি হবে আগামী রোববার। যেখানে মোহামেদ সালাহ মুখোমুখি হবেন তারই লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।