স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছর কলকাতায় যখন আইপিএলের নিলামের আসর বসেছিল, তখন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করে প্যাট কামিন্সকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যুক্তি ছিল, ইডেনের উইকেট যেহেতু পেস সহায়ক, তাই কামিন্সের গতিই হয়ে উঠবে নাইটদের অস্ত্র। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের আইপিএল হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ফলে কামিন্সকে নিয়ে নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা বড় ধাক্কা খেয়েছে।
মরুভূমের স্লো লো উইকেটে ১৫.৫ কোটি রুপিতে কেনা প্যাট কামিন্স এখন নাইট রাইডার্সের কাছে কার্যত ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শুক্রবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ইয়ন মরগ্যানের সঙ্গে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে গিয়েছিলেন কামিন্স। কিন্তু বল হাতে কোনো সাফল্য পাননি। শুধু উইকেটের কারণে নয়, কামিন্স তার লাইন-লেংথও ঠিক করতে পারছিলেন না। যখন লাইন ঠিক হচ্ছিল, তখন লেংথে গোলমাল হচ্ছিল। যে কারণে উইকেট আসছে না; বরং বেদম মার খাচ্ছেন।
এবারের আইপিএলে মাত্র ২টি উইকেট পেয়েছেন কামিন্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেটে নিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে নেন ১ উইকেট। ৩ ওভারে দিয়েছিলেন ১৩ রান। কিন্তু তারপর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে তার ঝুলিতে কোনো উইকেট আসেনি। সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচের ৬টিতেই তিনি উইকেটশূন্য! যে কারণে প্রথম ৬ ওভার নাইটরা কোনো সাফল্যও পাচ্ছে না। উল্টো কামিন্সের গতিকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তুলছে প্রতিপক্ষ।
একনজরে কামিন্সের শেষ পাঁচ ম্যাচের বোলিং পরিসংখ্যান –
১. মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২৮ রান।
২. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু : ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৮ রান।
৩. কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ২৮ রান।
৪. চেন্নাই সুপার কিংস : ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান।
৫) দিল্লি ক্যাপিটালস : ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৯ রান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।