জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটে প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনুমোদনবিহীন যৌন উত্তেজক ওষুধ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১০ জানুয়ারি) নগরীর দক্ষিণ সুরমায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সুমন চন্দ্র দাশ।
ম্যাজিট্রেট সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, অভিযানে নগরীর দক্ষিণ সুরমা ক্বিন ব্রিজের পয়েন্ট থেকে রেল গেট পর্যন্ত অবাধে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অনুমোদনহীন যৌন উত্তেজক ওষুধ, দাঁত ও চুলের ওষুধ এবং বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ওষুধ জব্দ করা হয়।
এদিকে, ক্বিন ব্রিজের পাশের ফেমাস মার্কেটের ওষুধের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। ড্রাগ লাইসেন্সহীন ব্যবসা পরিচালনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালত। তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় জরিমানার ১৭ হাজার টাকা। এর আগে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ফুটপাতের ভাসমান ওষুধ বিক্রেতাদের সতর্ক করলেও তারা মানবস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক ওষুধ বিক্রি বন্ধ করেননি। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে এসব ক্ষতিকারক ওষুধ কেউ কিনবেন না। ফুটপাতে দাঁতের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বেআইনি। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ও অনুমোদিত ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র বা ফার্মেসি ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে ওষুধ কেনা এবং সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
তিনি বলেন, ফুটপাতের এসব যৌন উত্তেজক বা ভিটামিন জাতীয় হারবাল ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নাই। তাই এসব যারা সেবন করেন তাদের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতির আশঙ্ক্ষা থাকে বলে জানান তিনি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক শিকদার কামরুল ইসলাম জানান, ফুটপাতে দীর্ঘদিন ধরে যারা যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করতেন, তাদেরকে সতর্ক করার পরও স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব ওষুধ বিক্রি বন্ধ করেনি। তাই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিলেট নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় জব্দকৃত ওষুধগুলো ধ্বংস করবে। অভিযানে সহযোগিতা করে র্যাব ৯ এর একটি দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।