স্পোর্টস ডেস্ক: তৃতীয় দিনের সকালের শুরুতে ব্যাট করতে নামার সময় বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ২৫ রানে। আর লাঞ্চ বিরতিতে এগিয়ে গেল ৮৬ রানে।
এদিকে সুন্দর একটি সকাল পাড় করলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ৯ নম্বর সেঞ্চুরি। অন্যদিকে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩৫১ রান তুলে। অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান মুমিনুল ১১৯* ও মুশফিক ৯৯*।
মিরপুরের সহজ ব্যাটিং উইকেটে সকালে শুরু থেকে মুশফিক রহিম একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালান। ৯৬ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০ বাউন্ডারির সহায়তায় মুশফিক তার এই হাফসেঞ্চুরি করেন। মুশফিকের হাফসেঞ্চুরির খানিকবাদে মুমিনুলও পৌঁছে যান ৯০ রানের ঘরে। সেঞ্চুরির জন্য বেশি সময় তাকেও অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। নিজের প্রিয় শট কাভার ড্রাইভে ১২ নম্বর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পুরো করেন মুমিনুল। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের এটি প্রথম সেঞ্চুরি এবং ক্যারিয়ারের নবম। তামিম ইকবালের সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয়টি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এখন মুমিনুলেরও।
১৫৬ বলে সেঞ্চুরি পুরণ করার পর মুমিনুল মনোযোগ দেন ইনিংসটা আরো লম্বা করার। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে সকালের সেশনটা মুমিনুল পুরোপুরি ‘বাংলাদেশময়’ করে তোলেন। এই সেশনের ২৮ ওভারে বাংলাদেশ কোনো ক্ষতি ছাড়াই তুলেছে ১১১ রান। রান রেটের স্বাস্থ্যও বেশ সবল; চারের কাছাকাছি ৩.৯৪।
সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া মুশফিকুর রহিম অবশ্য মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশকিছু ব্যক্তিগত মাইলফলক তৈরি করেন। মিরপুরে এটি মুশফিকের ৩৩ নম্বর টেস্ট ম্যাচ। যেখানে রান এক হাজারের ওপরে। এই ইনিংসেই মুশফিক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও নিজের চার হাজার রানও পুরো করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:(তৃতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভারে; মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেলর ১০, সিকান্দার রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১ ও তাইজুল ২/৯০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৫১/৩ (৯৯ ওভারে; সাইফ ৮, তামিম ইকবাল ৪১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭১, মুমিনুল হক ১১৯*, মুশফিক ৯৯*; তিরিপানো ১/৬০)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।