স্পোর্টস ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান যুব এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে চ্যাম্পিয়নের মতোই খেললো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুক্রবারে নেপালের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ব্যবধানে জয়ের পর আজ কুয়েতকে তারা হারিয়েছে ২২২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন। বিপরীতে কুয়েত অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৯ রানে। বাংলাদেশ পেয়েছে ২২২ রানের ব্যবধানে জয়।
পরপর দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বিশাল দুইটি জয় সেমিফাইনালের পথও সুগম করে দিয়েছে। রোববার নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে নেপাল হারলে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলার আগেই সেমির টিকিট পাবে বাংলাদেশ। অন্যথায় অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য।
বাংলাদেশের করা ২৯১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে একবারও মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে পারে কুয়েত। প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩৪ রান।
সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে ২৭ রান যোগ করেন অধিনায়ক-ওপেনার মিত ভাবসার ও মির্জা আহমেদ। এ জুটির কল্যাণে ৬০ পেরোয় কুয়েতের সংগ্রহ। মিত করেন ৪০, মির্জার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এছাড়া বাকি কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল। এছাড়া রাকিবুল হাসান ও এসএম মেহরব হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কুয়েত। শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান মাহফিজুল। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে ২৪ বলে ৪২ রানের ঝড় তোলেন মেহরব।
বাংলাদেশের যুবাদের শুরুটা এতো ভালো ছিল না। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলের ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ২ রান করা ইফতিখার হোসেন ইফতি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন মাহফিজুল ও আইচ মোল্লা।
চাপ সামলে জুটি গড়ে সেটিকে আরও বড় করার আগেই ৩৯ বলে ২০ রান করে ফিরে যান আইচ। ততক্ষণে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন মাহফিজুল। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে সমর্থন পাচ্ছিলেন না তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আরিফুল ইসলাম ৫৩ ও চতুর্থ উইকেটে তাহজিবুলকে নিয়ে যোগ করেন ৪৪ রান।
ভালো শুরুর পর ইনিংস বড় করতে না পারায় ব্যর্থতায় পড়েন আরিফুল (২৪ বলে ২৩) ও তাহজিবুল (১৯ বলে ২৫)। ইনিংসের ৩২তম ওভারে ১০৭ বল খেলে ১২ চার ও তিন ছয়ের মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহফিজুল। এরপর হাঁকান আরও একটি ছক্কা।
তবে দলীয় দুইশ পূরণ হওয়ার আগেই মোহাম্মদ উমরের বলে ক্যাচ আউট হন আজকের সেঞ্চুরিয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১১২ রানের ইনিংস। মাহফিজুল যখন ফিরে যান তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩৫.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান।
এক ওভার পরই বিদায় নেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। এরপর বাকি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মেহরব ও বর্তমান অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। মেহরব ২৪ বলে ৪২ ও রাকিবুল ২১ বলে ২১ রান করলে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
কুয়েতের পক্ষে ম্যাচটিতে বল হাতে হাত ঘুরিয়েছেন নয় জন বোলার। সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন আব্দুল সাদিক। এছাড়া মোহাম্মদ উমর ও হেনরি থমাস নেন দুইটি করে উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।