জুমবাংলা ডেস্ক : আব্দুল কাদের। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের উত্তর কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ দিন আগে একেবারেই সৌদি আরব থেকে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) তার বিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু সকালে নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। সব কিছু যেন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো। বিয়ের দিনে এমন এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার স্বজনেরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুক্রবার সকালে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নাজির উদ্দিন কালভার্টের পাশে একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবদুল কাদের একই এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে। দুপুরে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
নিহতের মা আছিয়া বেগম ও বাবা জয়নাল আবেদিন জানান, চরমোহনা ইউপির চালতাতলি এলাকার মোখলেস ও রোকেয়া বেগমের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে বিয়ের দিন ধার্য হয় শুক্রবার। মেহমানও বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। বিয়ের জন্য সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে আসেন কাদের। এর দুই ঘণ্টা পর কাদের ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তিন ঘণ্টা পর জগাগো বাড়ির সুপারি বাগানের ভেতরে পরিত্যক্ত পুকুরে কাদেরের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় গ্রাম পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।