জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোপন ক্যামেরায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ ও দম্পতির অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা হিমেল সিকদারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার হিমেল সিকদার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, প্রায় আট মাস আগে হিমেল সিকদার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ে না মানায় তিনি মির্জাপুর ইউনিয়ন পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হিমেল কয়েকদিন ধরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করে আসছিলো।
গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ওই বাসার অন্য একজন ভাড়াটিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ধারণ করতে ঘরের ধরনার সঙ্গে গোপন ক্যামেরা সাটাতে থাকেন। যা দম্পতি দেখে ফেলেন। পরে ভাড়াটিয়া ও বাসার মালিকেরা আসলে প্রথমে হিমেল গোপন ক্যামেরার কথা অস্বীকার করলেও তাদের চাপে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এরপর বুধবার দুপুরে তার মুঠোফোন থেকে বাড়ির মালিকের মেয়ের গোসলের পাঁচটি ভিডিও দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তাকে মির্জাপুরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিমেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তার মুঠোফোন ও গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।