জুমবাংলা ডেস্ক : ঋণ পরিশোধ না করায়, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেডের ৩ হাজার ৮শ’ ৩৪ শতক জমির মালিকানা সোনালি ব্যাংককে দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত।
হলমার্কের কাছে সুদসহ সোনালী ব্যাংকের ৫শ’ ৮৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওনা থাকায় ঢাকার অর্থঋণ আদালত রোববার (২২ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতের এ রায়কে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে দুদক আইনজীবী জানান, এ রায়ের ফলে আত্মসাৎকৃত সরকারী অর্থ ফেরত পাওয়া আরও সহজ হবে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর কেটে গেছে ৭ বছর। কিন্তু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালি ব্যাংক থেকে নেয়া সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের একটাকাও পরিশোধ করেনি হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেড। এমনকি প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা জমা দেয়ার শর্তে হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিন নিলেও বের হওয়ার পর সে পথে হাটেননি।
নিরুপায় হয়ে গত বছরের নভেম্বরে ঋণ বাবদ বন্ধকী দেয়া হলমার্কের ৩ হাজার ৮’শ ৩৪ শতক জমি ক্রোক চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় সোনালি ব্যাংক।
রোববার দুই পক্ষের শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেন ঢাকার অর্থঋণ আদালত। রায়ে হলমার্কের বন্ধকী জমি সোনালি ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘এ রায়ে আমি দেখছি যথেষ্ট ইতিবাচক দিক আছে। কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আদালতের আদেশ মোতাবেক টাকা যদি ফেরত না দেয় তাহলে জমি ক্রোক করে সেই টাকা আদায় করা যাবে এই নজিরটি আজকে ঢাকার অর্থঋণ আদালত উপস্থাপন করল। আমি মনে করি, আদালতের এটা একটা অত্যন্ত পজিটিভ অর্ডার। এখন টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও তার জমি ক্রোক করা যাবে এবং যে ব্যাংকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে সে ব্যাংকে তার জমি ফেরত দেয়া যাবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রায় ঋণ জালিয়াতদের জন্য সতর্কবার্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।